চরম আর্থিক সঙ্কটে ইন্টারনেট সেবাদাতারা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক প্রতিষ্ঠান

0 Comments

করোনার কারণে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। অফিস আদালত বন্ধ থাকায় কর্পোরেট গ্রাহকদের কাছ থেকে যেমন বিল পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি বাসা বাড়ির গ্রাহকেরাও নানান অজুহাতে বিল প্রদানে গড়িমসি করছেন। সব মিলিয়ে একরকমের বিলই পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনেক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।

সেবা পারিচালনা ও কর্মীদের বেতন দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই সময়মত বেতন দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। অগত্যা মূলধন থেকে বেতন প্রদান ছাড়াও ইন্টারনেট সেবা অব্যাহত রাখতে ব্যান্ডউইথ পেতে আপস্ট্রিম, আইআইজি ও ন্যাশনওয়্যাইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক অপারেটর্সদের (এনটিটিএন) বিল পরিশোধ, অফিস ভাড়া এবং ইউটিলিটি বিল দিতে গিয়ে এখন অনেকেই ব্যবসায় টিকিয়ে রাখা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের নির্দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে অফিস। আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাইবলে বন্ধ নেই জরুরী ইন্টারনেট সেবা। বরং ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বেড়েছে অনেক। এই ইন্টারনেট সংযোগেই যতটুকু সম্ভব সচল রয়েছে ভার্চুয়াল অফিস, ব্যবসা এমনকি টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো। সংযোগ সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো। চাহিদা বাড়ায় ব্যান্ডউইথের চাপই নয় পরিচালনা ব্যয়ও বেড়েছে। বাড়ছে পাওনা পরিশোধের চাপ।

ছোট বড় বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে,  এ মাসে তারা সর্বসাকুল্যে ১০% থেকে ২০% বিল কালেকশন করতে পেরেছেন। অপরদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে বাসা-বাড়ি থেকে বিল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। আবার কেউ যদি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে পরিশোধ করতে চান তাহলে খরচ দেন না। ফলে সেখানেও আয় থাকে না। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অর্ধেকের বেশি ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেন, আমরা এখন উভয় সঙ্কটে আছি। আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এখনো ২০ শাতাংশের বেশি বিল কালেকশন করা সম্ভব হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে আর্থিক প্রণোদনা ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানই সেবা চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে না।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে কর্মীদের ছয় মাসের বেতন বাবাদ ৬১০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্রত্যাশা করছেন ইন্টারনেট সেবাদাতারা। সঙ্গে এক বছরের গ্রেসসহ ২ শতাংশ ঋণসুবিধার পাশাপাশি বিল আদায়ে এমএফএস চার্জ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন আইএসপিএবি।

আগের পোষ্ট

সকল পোষ্ট